Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
Details

বঙ্গোপসাগরের মিরসরাই উপকূলীয় এলাকায় বহুল প্রতিক্ষিত ‘মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল’র উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সরকারি-বেসরকারি ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অানুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। কিন্তু আমাদের পুরো দেশে এমন অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। দেশে আমরা ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলবো। আর এ কাজে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে না এলে দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে না।’ 

এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ, জিটুজি, পিপিপি উদ্যোগ বা প্রয়োজনীয় যেকোনো উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরকে বিভিন্ন এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তবে তা হবে পরিকল্পিত। যেন আমাদের নদী-পরিবেশ দূষিত না হয়। ঘনবসতি বারবার উঠিয়ে দিতে না হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’ 

 

দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে সরকারি, বেসরকারি ও কো-অপারেটিভ উদ্যোগের কথা বলেছিলেন, সরকার সে পথ অনুসরণ করেই এগোচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বাস্তবায়নে গড়ে ওঠা এ ১০টি অঞ্চলের মধ্যে চারটি সরকারি ও ছয়টি বেসরকারি। সরকারিগুলো হলো চট্টগ্রামের মিরসরাই, মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট ও বাগেরহাটের মংলা এবং কক্সবাজারের সাবরাং পর্যটন অঞ্চল। 


বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা ছয়টি হলো, নরসিংদীর পলাশে ‘এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল’, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ‘আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল’, নারায়ণগঞ্জের ‘মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল’ ও ‘মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল’, গাজীপুরে ‘বে অর্থনৈতিক অঞ্চল’ এবং নারায়ণগঞ্জে ‘আমান অর্থনৈতিক অঞ্চল’।

 

মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলটি হবে ইছাখালী চরের ৭ হাজার ৭১৬ একর জমিতে। তা ছাড়া এরই মধ্যে চরে জেগে ওঠা ১৫ হাজার একর জমির মধ্যে প্রথম অবস্থায় চারটি মৌজায় ৬৩৯০ দশমিক ৯৬৭০ একর জায়গারও উন্নয়ন কাজ চলছে। এর মধ্যে পীরের চর এলাকায় আছে ১৩৯০ দশমিক ৪৩১৬ একর, সাধুর চর এলাকায় আছে ১৬৬৪ দশমিক ১০৩৯ একর, শিল্প চর এলাকায় ১৮৫২ দশমিক ৫৩৮৫ একর ও মোশাররফ চর এলাকায় ১৫০৪ দশমিক ২৯৩০ একর। এটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

Images
Attachments